লালমনিরহাট জেলা সমিতি, ঢাকা
ইতিহাস ও ইতিকথা
ঢাকায় অবস্থানরত লালমনিরহাট জেলার জনগণের ঐক্য, সহযোগিতা এবং কল্যাণে উৎসর্গীকৃত একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে "লালমনিরহাট জেলা সমিতি, ঢাকা" প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ ইংরেজি সালে। এই সমিতির মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত লালমনিরহাটবাসীদের একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, যাতে সকলের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহানুভূতির বন্ধন দৃঢ় হয়।
কার্যালয় ও বৈধতা
সমিতির কার্যালয় বৃহত্তর ঢাকা নগরীতে অবস্থিত। এটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী একটি স্বীকৃত ও তালিকাভুক্ত সংগঠন।
উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও আদর্শ
- ঢাকায় প্রবাসী লালমনিরহাটবাসীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা
- গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা
- পাঠাগার স্থাপন ও পাঠাভ্যাসের প্রসার
- দুঃস্থ ও অসহায়দের জন্য সহায়তা
- নারী ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার
- লালমনিরহাট জেলার উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা
- সমবায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা
- সাংস্কৃতিক আলোচনা সভা আয়োজন
- বেকারত্ব ও কুসংস্কার দূরীকরণ
- সমাজকল্যাণমূলক কাজে সংহতি ও সহযোগিতা
সদস্যপদ
সাধারণ সদস্য, আজীবন সদস্য ও অনারারি সদস্য – এই তিন শ্রেণির সদস্য অন্তর্ভুক্ত। সদস্যপদ লাভের জন্য নির্দিষ্ট বয়স ও ফি প্রযোজ্য।
সাধারণ সদস্য
- শিক্ষার্থীদের জন্য ফি: ৫০০ টাকা
- অন্যান্যদের জন্য ফি: ১০০০ টাকা
আজীবন সদস্য
এককালীন কমপক্ষে <strong>১০,০০০ টাকা</strong> দান করলে আজীবন সদস্যপদ লাভ করা যায়।
অনারারি সদস্য
ঢাকার বাইরে থাকা সম্মানিত লালমনিরহাটবাসীদের মধ্যে যাঁরা সমিতির স্বার্থে ভূমিকা রাখেন, তাঁদের অনারারি সদস্যপদ দেওয়া হয়।
পৃষ্ঠপোষক
সমিতির জন্য ৫ জন পৃষ্ঠপোষক মনোনীত থাকেন, যার মধ্যে জেলার নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত।
অনারারি ডাক্তার
দুস্থদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রতি বছর অনারারি ডাক্তার মনোনীত করা হয়।
সদস্যপদ বাতিল ও বহিষ্কার
সমিতির স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ, অর্থ আত্মসাৎ বা অনৈতিক আচরণে সদস্যপদ বাতিল বা বহিষ্কার হতে পারে।
সমিতির বর্ষ গণনা
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমিতির বর্ষ বিবেচনা করা হয়।